২০২৩ শিক্ষাবর্ষ সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা

স্কুল ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট

শান্তিনগর শাখা

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّهِ وَبَرَكاتُهُ

ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪَ ﻟِﻠﻪِ ﻧَﺤْﻤَﺪُﻩُ ﻭَﻧَﺴْﺘَﻌِﻴْﻨُﻪُ ﻭَﻧَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻩْ ﻭَﻧَﻌُﻮﺫُ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻣِﻦْ ﺷُﺮُﻭْﺭِ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻨَﺎ ﻭَﻣِﻦْ ﺳَﻴِّﺌَﺎﺕِ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟِﻨَﺎ، ﻣَﻦْ ﻳَﻬْﺪِﻩِ ﺍﻟﻠﻪُ ﻓَﻼَ ﻣُﻀِﻞَّ ﻟَﻪُ ﻭَﻣَﻦْ ﻳُﻀْﻠِﻞْ ﻓَﻼَ ﻫَﺎﺩِﻱَ ﻟَﻪُ. ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠﻪ ﻭَﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَﺭَﺳُﻮْﻟُﻪُ

সবাইকে এস.সি.ডি শান্তিনগর শাখায় আহলান ওয়া সাহলান। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ (রবিবার) থেকে ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ। ক্লাস রুটিন দেখতে নিচের লিংক-এ ক্লিক করুন:

ক্লাস রুটিন

সূর্যোদয়ের সময়ের সাথে সমন্বয় করে, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে মর্নিং শিফট-এর ক্লাস (১ম – ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত) সকাল ৭:১০-এ শুরু হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এই সময় পরিবর্তীত হয়ে সকাল ৭:০০ টায় শুরু হবে ইন-শা-আল্লাহ।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ডে শিফট-এর ক্লাস দুপুর ১২:০০ থেকে শুরু হবে। তবে ১ম-৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত ডে-শিফট-এর সকল শিক্ষার্থী দুপুর ১২:০০টায় স্কুলে এসে প্রথমে যুহর সলাত আদায় করবে। এরপর ১২:২০ থেকে কুরআন ক্লাসে অংশগ্রহণ করবে, ইন-শা-আল্লাহ।

নার্সারির মনিং শিফট ও ডে-শিফট এবং কেজি শ্রেণির ক্লাস রুটিন পুরো বছরই অপরিবর্তীত থাকবে।

সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় তারতম্যভেদে ক্লাস শুরু ও শেষ হওয়ার সময় ভবিষ্যতে কিছুটা পরিবর্তীত হবে, যা যথাসময় অভিভাবকদের জানিয়ে দেওয়া হবে, ইন-শা-আল্লাহ।

অভিভাবকদের বসার স্থান ও স্কুল অফিসে যোগাযোগ:

নার্সারি এবং কেজি শ্রেণির অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের স্কুলের পূর্ব দিকের গেইটে এস.সি.ডি স্টাফদের কাছে সন্তানদের পৌছে দিবেন। ১ম শ্রেণি থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির অভিভাবকগণ শিক্ষার্থীদের স্কুলের উত্তর দিকের গেইটের সামনে এস.সি.ডি স্টাফদের কাছে সন্তানদের পৌছে দিবেন। এস.সি.ডি স্টাফরা প্রয়োজন অনুযায়ী লিফট বা সিড়ির মাধ্যমে আপনার সন্তানদের যথাস্থানে পৌছে দিবে।

তবে প্রয়োজন হলে (বিশেষ করে নার্সারি শ্রেণি) আমরা অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে বিশেষ বিবেচনায় ক্লাস রুমের বাইরে অবস্থান করার অনুমতি প্রদান করবো, ইন-শা-আল্লাহ।

স্কুলের ১ম তলায় পুরুষ ও দক্ষিণ দিকে মহিলা অভিভাবকদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা আছে। অভিভাবকগণ নির্ধারিত বসার স্থানে অবস্থান করতে পারবেন। পুরুষ ও মহিলা অভিভাবকদের অথবা ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পর্দার বিধান সম্পর্কে সবাই সতর্ক থাকবেন ইন-শা-আল্লাহ।

টিফিন এবং পানি পান ও ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা:

প্রতি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে টিফিন প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীরা বাসা থেকে বা বাইরে থেকে কোনো ধরনের খাবার স্কুলে আনবে না। নার্সারি ও কেজি শ্রেণির সকল শিক্ষার্থী অবশ্যই সাথে করে টিফিন বক্স নিয়ে আসবে। ১ম – ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আলাদা পাত্রে টিফিন দেওয়া হয়। তাই ১ম-৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলেই টিফিন খাবে। তবে কেউ স্কুলে টিফিন না খেলে তা ব্যক্তিগত টিফিন বক্সে করে নিয়ে যেতে পারবে।

স্কুলের প্রতিটি তলাতেই ‘রিভার্স অসমোসিস সিস্টেম’-এর খাবার পানির ফিল্টার রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যার যার ব্যক্তিগত পানির বোতল বা ফ্লাস্ক নিয়ে আসবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পানি ভরে নিবে। একজনের পানির বোতল আরেকজন ব্যবহার করবে না।

৩) টয়লেট ব্যবহারের পর কোনোভাবেই যেন কলের কাঁচা পানি মুখে না যায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। টয়লেট ব্যবহার করার পর শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত এবং টয়লেট-এর পরিস্কার/পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেন পরবর্তী ব্যবহারকারি টয়লেটে প্রবেশের পর একটি পরিচ্ছন্ন টয়লেট পায়।

পোশাক ও সময়ানুবর্তিতা

প্রাথমিক অবস্থায় হয়ত অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে পরিপূর্ণভাবে স্কুল ইউনিফর্ম পরে আসা সম্ভব হবে না। তবে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এর পূর্বে অবশ্যই ইউনিফর্ম পরে আসা নিশ্চিত করতে হবে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থেকে কোনো শিক্ষার্থী পরিপূর্ণ ইউনিফর্ম ছাড়া স্কুলে প্রবেশ করার অনুমতি পাবে না। শিক্ষার্থীরা ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এর পূর্ব পর্যন্ত স্কুলের নির্ধারিত ইউনিফর্ম-এর কাছাকাছি ধরন এবং রং-এর পোষাক পরিধান করে আসবে। 

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থেকে কোনো শিক্ষার্থী ক্লাস শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পরে স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি, ১ মিনিট লেট হলেও মেইন গেইট বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং যারা লেট করে স্কুলে উপস্থিত হবেন তাদের ফিরে যেতে হবে। এক্ষেত্রে স্কুল অফিসে ফোন বা প্রিন্সিপাল উস্তাজকে ফোন করে কোনো ধরনের অনুরোধ করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে।

স্কুলের নির্ধারিত ইউনফর্ম ও সঠিক সময়ে স্কুলে প্রবেশের বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসরণ করে। তাই এই বিষয়ে লেট করে উপস্থিত হওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ ধৈর্যের পরিচয় দিবেন এবং দয়া করে স্কুলের গার্ড বা স্টাফদের সাথে উচ্চবাচ্য বা অসন্তোষ প্রকাশ করবেন না।

আল-কুরআন ও আরবি ভাষা শিক্ষা ক্লাস:

১ম থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আল-কুরআন (কায়দা, আম্মাপারা, নাজেরা, হিফজ) এবং আরবি ভাষা শিক্ষা (লেভেল-১, লেভেল-২ ও লেভেল-৩) ক্লাস স্কুলের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয়। আল-কুরআন ও আরবি ভাষা শিক্ষার ক্লাসসমূহ আমরা ক্লাসের ভিত্তিতে ভাগ না করে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করে থাকি। তাই শিক্ষার্থীরা প্রথমে নির্ধারিত শ্রেণিকক্ষে কুরআন ক্লাস করে, পরবর্তীতে আরেকটি শ্রেণিকক্ষে আরবি ভাষা শিক্ষার ক্লাস করে। এরপর টিফিনের বিরতি দেওয়া হয়। টিফিনের বিরতির পর শিক্ষার্থীরা জেনারেল বিষয় অধ্যয়নের জন্য শ্রেণি অনুযায়ী যারা যার ক্লাস রুমে অবস্থান করেন।

আল-কুরআন/হিফয ক্লাস রুটিন (শিক্ষার্থীর নাম ও গ্রুপ)

মা আসসালামাহ

অধ্যক্ষ

এস.সি.ডি (শান্তিনগর শাখা)

Scroll to Top